আমাদের অনেক টাকা আছে, টাকা আর টাকা : পরিকল্পনামন্ত্রী

আমাদের অনেক টাকা আছে, টাকা আর টাকা : পরিকল্পনামন্ত্রী

বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা বলতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের অনেক টাকা আছে, গ্রোথও ভালো। রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে আছে। টাকা টাকা আর টাকা। যে ভীতি ছিল তা আর নেই।

তিনি বলেন, মিরাকলের চেয়েও বেশি অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর কেউ এভাবে পারে না। যেখানে অনেক দেশ মাইনাস জিডিপিতে আছে। কিন্তু আমরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন’ বিষয়ক এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, দেশের মঙ্গলের জন্য আমাদের চিন্তা করতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশে বৈষম্য রয়েছে। আমার ধারণা বৈষ্যমকে হত্যা করতে পারব। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে।

মন্ত্রী বলেন, বাজেট পুনর্বিন্যাসের কথা বলেছিলাম। বাজেট পুনর্বিন্যাস বলতে কী বুঝাতে চাচ্ছি, পুরোটা বলার কোনো স্কোপ নেই। এ নিয়ে এখন আর কিছু বলব না। রাজনৈতিকভাবেও ততটা বলা সঙ্গত নয়। বাজেটের অভ্যন্তরীণ প্লাস মাইনাস করা যায়।

তামাক নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন,  এটি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আমরা তামাক থেকে আয় চাই আবার হেলথ সেক্টরে বাড়তি বাজেটও চাই। কিন্তু আমার মনে হয় তামাক নিয়ন্ত্রণ করলে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট কম লাগবে।

dhakapost

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি সংসদ সদস্যদের মনে রাখতে হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আমরা তাকে সহায়তা করব। এটা অর্জন সম্ভব। তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাই আমাদের তামাক নিয়ন্ত্রণের পক্ষে কাজ করতে হবে। তামাক আইন সংশোধনে সব পর্যায়ে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।

সেমিনারে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, আপনারা অনেকেই প্যাসিভ স্মোকিংয়ের কথা জানেন। একজন ধূমপান করেন, কিন্তু সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের মধ্যে এটা বেশি হচ্ছে। তামাকপণ্যের প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা ৯০ শতাংশ করতেই হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আমরা সবাই বলেছি, তামাকের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি পরিকল্পনামন্ত্রীকে বলে রাখি, আমাদের দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা জরুরি। আমরা সকলেই এ ব্যাপারে একমত।

শুরুতে তামাক আইন সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপস্থাপন করেন সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি কতগুলো সুপারিশ তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-  সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির ‘করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’ কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি ও মোড়কবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট জাতীয় প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করা ইত্যাদি।

ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের চেয়ারম্যান ও সাংসদ অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাংসদ ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার, অপরাজিতা হক, শবনম জাহান, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার প্রমুখ।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন